নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে নিয়ামতপুর উপজেলা আ,লীগের সহ সভাপতি নজরুল ইসলামের ভাতিজি আনোয়ারা বেগমের মামলায় নাচোল উপজেলার কসবা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জাকারিয়া আল মেহারাব কে মামলাার আসামি করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ঐ আ,লীগের সহ সভাপতির ভাতিজি আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে নাচোল থানায় একটি মামলা করেন।মামলায় কসবা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জাকারিয়া আল মেহারাব কে ৯নং আসামি করা হয়েছে।তবে এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নাচোল উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
কসবা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জাকারিয়া আল মেহারাব বলেন,সোনামাসনা গ্রামের আশরাফুল, এনামুল ও বাবু সহ আটটি পরিবারের লোকজনের রহনপুর এলাকার জনৈক আনোয়ারা বেগমের (জোসনারা) বেগমের জমির সামনে দিয়ে চলাচলের জন্য একটি রাস্তা রয়েছে।সেই রাস্তা দিয়ে আটটি পরিবারের লোকজন ৪৫বছর ধরে চলাচল করে।হঠাৎ করে সেই রাস্তা ঐ আ,লীগ সভাপতির ভাতিজি
আনোয়ারা বেগম তারের বেড়া ও সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঐ পরিবার গুলোকে অবরুদ্ধ করে রাখে।পুলিশ ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রতিনিয়ত ভুক্তভোগি পরিবারের লোকজন কে অবরুদ্ধ করে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দিচ্ছে না।উক্ত বিষয়টি নিরসনের জন্য একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে উভয় পক্ষককে সমাধানের কথা বলি।কিন্তু উল্টো আনোয়ারা বেগম আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে।জনগের জন্য কাজ করতে গিয়ে যদি জনপ্রতিনিধিদের মিথ্যা মামলার আসামি হতে হয় তাহলে এর চেয়ে দু:খ জনক আর কি আছে।
চেয়ারম্যান আরো বলেন,বর্তমান নাচোল থানার ওসি মনিরুর ইসলাম থানায় যোগদানের পর ঘটনার সত্যতা না জেনেই বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দ্বায়ের করছেন।কিছুদিন আগে আরেকটি মিথ্যা মামলায় সদর ইউপির চেয়ারম্যানের ভাই সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল ইসলামের নামে মামলা রেকর্ড করেন।এসব মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে যদি প্রত্যাহার না করা হয় তবে আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।
এদিকে নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, আনোয়ারা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কসবা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান জাকারিয়া আল মেহারাব কে মামলাার আসামি করা হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য যে,কসবা ইউপির সোনামাসনা গ্রামের ৮(আট) টি পরিবার কে সীমানা প্রাচীর দিয়ে অবরুদ্ধ করার চক্রান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা এগারটার দিকে সোনামাসনা গ্রামের আশরাফুল ইসলামের বাড়ির সামনে আনোয়ারা বেগমের শাস্তি ও বিচার দাবি করে এলাকাবাসি মানবন্ধন করেন।
